সপ্তাহে একদিন করে কাঁদতেই হবে । ২৬শে অক্টোবর, টোকিও তে এমন অভিনব নির্দেশ জারি করল জাপান সরকার। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, সরকারী ও বেসরকারী প্রতিস্থানে কর্মরত প্রতেককে সপ্তাহে একদিন করে কাঁদতেই হবে বা কাউন্সিলিয়ের মাধ্যমে কাঁদতে হবে ।
Table of Contents
কি কারনে কাঁদতেই হবে
জাপানীরা সাধারন ভাবে অত্যন্ত কর্মঠ হয়ে থাকেন। টাইম মেন্টেইন করে কাজ করতে সকলেই অভ্যস্ত। নিচু স্তরের ওয়ার্কার থেকে শীর্ষ আধিকারিকরা পর্যন্ত ঘড়ির সময় ধরে কর্মস্থলে উপস্থিত হন। জাপানে ট্রেন ঘড়ির কাঁটা ধরে সময় মতো চলে বলে বেশিরভাগ মানুষ ট্রেনেই যাতায়াত করেন। এমনকি ট্রেন একমিনিট ও লেট হলে ট্রেন কতৃপক্ষ দুঃখও প্রকাশ করেন। তাই সময় মত হাজিরার জন্য ট্রেনই একমাত্র মাধম।
আর এই রকম ভাবে টাইম ধরে কাজ করতে করতে জাপানের বেশিরভাগ মানুষ আজ রোবট এ পরিনত হচ্ছে । তার ফলেই বাড়ছে মানসিক রোগ। জাপানে গত কয়েক দশক ধরেই ক্রমাগত মানসিক রোগের বৈকল্য দেখা দিচ্ছে । রোগটি এই দেশে কুরাশামি নামে পরিচিত। কুরাশামি হল অতিরিক্ত কাজের ফলে মানসিক ভারসাম্য বিপন্ন হওয়া ।
মেডিসিন কি কাঁদতেই হবে
এদেশে ক্রমাগত এই রোগ বৃ্দ্ধি পাওয়ায় জাপান সরকার বিশেষজ্ঞদের থেকে পরামর্শ চায়। বিশেষজ্ঞ রা জানিয়েছেন ডিপ্রেসন থেকে এই রোগের জন্ম, আর এর থেকে মুক্তির একমাত্র মেডিসিন চোখের জল ফেলা । তাই জন্যই জাপানে এই অভিনব নির্দেশ ।
এই রোগ থেকে মুক্তির জন্য ট্যাবলেট, ক্যাপ্সুল ব্যাবহার না করে সপ্তাহে একদিন করে চোখের ফেললেই উপশম হবে। তাই স্কুল, কলেজ ও অন্যন্ন প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে অন্তত একদিন করে কাঁদতে বা কাঁদাবার জন্য এই অভিনব নির্দেশ জারি করেছে জাপান সরকার।
আশা করি লেখাটি ভালো লাগলো, লাইক ও কমেন্ট করে উৎসাহিত করুন।
আবার দেখা হবে পরবর্তী লেখাতে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। লেখাটা সুন্দর। মানুষ যেখানে হাসতে চাইছে মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে সেখানে কিছু জায়গায় কান্না টিকে বেছে নেওয়া হচ্ছে রোগের ঔষধ হিসাবে। অদ্ভুত হলেও সত্য।