জার্নালিস্ট কবিতা – এক সাংবাদিক মেয়ের জীবন কথা

সাংবাদিক সম্মেলনে …………

We are journalist. We are proud to what we do……. বলতে বলতে কবিতার চোখে জল । কবিতা চক্রবর্তী সফল জার্নালিস্ট / সাংবাদিক। পিতা জ্ঞানদা চক্রবর্তী , মাতা সাবিত্রী চক্রবর্তী । ছেলেবেলা থেকেই কবিতা পড়াশুনোয় ব্রিলিয়ান্ট । বিখ্যাত ডাক্তার পরিবার এর কন্যা কবিতাও একজন বিখ্যাত ডাক্তার হবে এটাই জ্ঞানদা ও সাবিত্রীর ইচ্ছা ছিল । কিন্তু কবিতা সময় এর সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে সাংবাদিকতা প্রফেশনে যুক্ত করে ।

আগের ঘটনা – রাজনৈতিক নেতা শ্রীধর সরকার , রেপ কালোবাজারি ও ড্রাগ সাপ্লাইয়ের অপরাধে জামিন অযোগ্য জেল হয় । অসুস্থতার অভিনয় করে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার জ্ঞানদার কাছে আসে । তিনি অসুস্থ , তাই জেলে নয় হাসপাতালে রাখা উচিত । কিন্তু জ্ঞানদা চেকআপ করে । সব কিছু নরমাল পাওয়ায় অসুস্থ লিখতে নারাজ হয় । তার পর থাকেই শুরু হয় জ্ঞানদার উপর অত্যাচার । মৃত পেশেন্ট হসপিটালে ঢুকিয়ে জ্ঞানদার হাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে রটানো হয় । মৃতের পরিবারের লোকদের দিয়ে পুলিশ রিপোর্ট লেখানো হয় । পুলিশ জ্ঞানদাকে অ্যারেস্ট করে । জেলের মধ্যে শ্রীধর তার লোকজন নিয়ে জ্ঞানদাকে হত্যা করে ।

এদিকে জ্ঞানদার স্ত্রী হওয়ায় , সাবিত্রীকে হসপিটালের ওষুধ চুরি ও কোকিন ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অপরাধে হসপিটাল থেকে বের করে দেওয়া হয় । পরের দিন নিউজ পেপারে হেড লাইনে আসে – ড্রাগ ব্যাবসার সহিত জড়িত । বেলা বারার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির সামনে সাংবাদিক দের ভিড় জমতে থাকে । সাংবাদিকরা সাবিত্রিকে বিভিন্ন ভাবে প্রশ্ন করতে থাকে , এবং জানতে চায় – কেন তারা এসব করেছে । সাবিত্রী কোন উত্তর দিতে পারে না । এরপর বাড়ির ছাদ দিয়ে লাফ দিয়ে সাংবাদিকদের সামনে আত্মহত্যা করে ।

মামা গঙ্গাধর বন্দোপাধ্যায় কবিতাকে তার সাথে নিয়ে যায় । জ্ঞানদা ও সাবিত্রীর সমস্থ সম্পত্তির মালিক হয় গঙ্গাধর । মামি রাসমনির চোখে ঘুম আসেনা , যদি বড় হয়ে কবিতা সমস্থ সম্পত্তির হিসাব চায় ।

মামা কবিতাকে খুব ভালোবাসে তাই তার পড়ার ব্যাপারে কোনো ত্রুটি রাখেনা । স্কুল থেকে ফেরার পথে কবিতা ক্যারাটে শিক্ষা কেন্দ্র দেখতে পায় এবং তার বায়নায় মামা তাকে ভর্তি করে দেয় । একদিন কবিতার স্কুলের ল্যাবে আগুন লেগে যায় , আগুন নেভানোর কোনো রকম ব্যাবস্থা না থাকায় তার এক বন্ধুর মৃত্যু হয় । হেডমাস্টার সাংবাদিকদের সামনে নিজের দোষ ঢাকতে ইলেকট্রিক শট সার্কিট থেকে আগুন লেগে যায় এবং উচুতে আগুন লাগার কারনে তারা Fire Extinguisher থাকার সত্বেও কিছু করতে পারেন-নি । স্কুলের অন্যান্য রা দেখেও কিছু বলতে পারেনি । কবিতা মনে মনে ভাবে সে জার্নালিস্ট হবে এবং সত্যিটা সবার সামনে আনবে ।

রাস্তায় একা মেয়েকে বিরক্ত করতে দেখে কবিতা ছবি তোলে এবং একা তাদেরকে উচিত শিক্ষা দেয় এবং জেলে ঢোকায় নিজের তোলা ছবি পুলিশকে দেখিয়ে ।রাস্তায় দারিয়ে দেখা True News কোম্পানির এডিটর কবিতাকে তার অফিসে দেখা করতে বলে ।

 শুরু হয় জার্নালিস্ট কবিতার নতুন জিবন ।

রাজনৈতিক মিটিং হওয়া স্টেজের সামনের খবর ছাড়াও, স্টেজের পিছনের খবর ও True News চ্যানেলে দেখানো হল । খেলার মাঠের ব্যাটিং থেকে ব্যেটিং ,  শুটিং থেকে গ্রিনরুম সব সত্যিকারের খবর দেখাতে থাকল True News ।

দেরি হলনা শ্রীধরের হুমকি আসতে এডিটরের অফিসে । এডিটর বসন্ত বিশ্বাস বলে দেন আপনার যা ইচ্ছা হয় করুন । শ্রীধর লোক পাঠীয়ে এডিটর এর অফিস ভাঙচুর করে এবং শাসিয়ে যায় এরপর দেখালে প্রাণে মেরে দেবে । কবিতাকেও আলাদা যায়গায় মারার জন্য লোক পাঠায় শ্রীধর । খূব অ্যাকশনের পর পিছন থেকে একজন কবিতাকে আঘাত করে এবং কবিতা মাটিতে লুটিয়ে পরে । এবং সকলে মিলে ধরে রেপ করার চেষ্টা করে । ঠিক সেই সময় ইন্‌সপেক্টর রাজা কুমার সিংহ এসে কবিতাকে উদ্ধার করে । রাজ (রাজা কুমার সিংহ) কবিতার  কাছ থেকে সব কিছু শুনে কবিতাকে এগিয়ে যেতে বলল । রাজ স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে দায়িত্ব নিয়ে এখানে এসেছে জানায় কবিতাকে । এরপর বন্ধুত্ব হয় ।এরপর কফিশপ ।

রোমান্টিক ফীলিং……।।

এডিটর বসন্তের মাধ্যমে কবিতা জানতে পারে –ভোটে মুখ্যমন্ত্রী পদে দাঁড়াবে শ্রীধর । শ্রীধরের মত লোক যাতে কোনোমতে ভোটে জিততে না পারে , তার আসল সত্যি টা সমাজে তূলে ধরতে হবে বলে জানান – এডিটর বসন্ত । কবিতা রাতের অন্ধকারে তার সহপাটি ধীরাজকে নিয়ে শ্রীধরের এবং দলের কথা ভিডিও করে । আর এদিকে শ্রীধর ভোটের জন্য লোকদেখানো সাহায্য করে । এবং অন্য নিউস চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচার করতে থাকে । শ্রীধর এবং তার দলের লোকেদের বিশ্বাস হয়ে যায়  যে তারাই ভোটে জিতবে । কিন্তু শ্রীধর দলের লোকদের তৈরি থাকতে বলেন – বেগতিক দেখলেই ছাপ্পা শুরু করতে । জিততে তাদের হবেই । ভোটের দিন এগিয়ে এলো । সমস্থ বুথে শ্রীধরের লোক হাজির আগের দিন থেকেই ।

ভোটের দিন সকালেই কবিতা True News এর চ্যানেলে শ্রীধরের কথা দেখাতে শুরু করে । শ্রীধর লোক পাঠীয়ে অ্যাটাক করে কবিতা ও এডিটর এর ওপর । কবিতা এবং রাজ দ্বারা দুপক্ষের অ্যাকশন । শ্রীধরের লোকেরা সব বুথে জোড় করে ছাপ্পা মারার চেষ্টা করে । সমস্থ বুথে  লোকজন ক্ষেপে গিয়ে শ্রীধরের লোকদের মারে এবং বের করে দেয় । এরপর শ্রীধর ও কবিতার মুখোমুখি কথা কাটাকাটি ও অ্যাকশন । শ্রীধরকে হারিয়ে কবিতা পিছনে ফিরলে – শ্রীধর কবিতাকে ছুড়ি নিয়ে আঘাত করে এবং রাজ গুলি করে শ্রীধরকে । কবিতাকে হসপিটালে নিয়ে যায় – এবং ঠিক হয়ে  দুজনে আলিঙ্গন করে । এরপরে প্রথমে ফিরে আসা – সকলের হাততালি , অটোগ্রাফ চাওয়া , স্টেজের সামনে ।

কলমে – অমিত পাল ।

বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার সময় দেখে নিন বাস্তু মেনে তৈরি কি না

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x