আজকের ব্যাস্ত জীবনে আমাদের অনেকের পক্ষেই আর বন্ধুত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়ে উঠছে না। আবার অনেকে বিভিন্ন রকম প্রলোভনের স্বীকার হয়ে বন্ধুত্ব থেকে সাত হাত দূরে। তবে বন্ধুতের সম্পর্ক আলাদা ধরনের সম্পর্ক। মা-বাবা, ভাই বোন ছারাও বন্ধুতের সম্পর্ক মানব জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক মানুষের জীবনে এমন অনেক কথা বা জ্ঞানের প্রয়োজন থাকে যা সব বাবা- মা আত্মীয় স্বজন , ভাইবোন কারর সাথে আলোচনা করা সম্ভম হই না। তাই আদি অনন্ত কাল থেকে এই বন্ধুতের সম্পর্ক ক্রমশও বেড়ে চলেছে।
এ পি জে আব্দুল কালাম বলেছেন একটি ভালো বই একশোটি বন্ধুর সমান আর একটি ভালো বন্ধু পুরো একটা লাইব্রেরি সমান। স্যার আব্দুল কালাম দেশের জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করেছেন আর এটা বুঝিয়ে গেছেন যে বন্ধু বা সম্পর্ক কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
Table of Contents
বন্ধুত্ব –
কে বা কারা বন্ধু হয়
ছোট বেলা থেকে যাদের সাথে খেলাধুলা করি, স্কুলে পরি, টিউশন ক্লাসে পরি তারা তো পরিচিত বন্ধু থাকেই। এছারাও রাস্তাঘাটে, বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে নতুন বন্ধু হতে পারে । বন্ধুতের কোন নির্দিষ্ট বয়স থাকে না কথায় বলে। তাই বেশি বয়সের বা কম বয়সের মানুষরাও বন্ধু হতে পারে। সে সম্বোধন কাকু বা দাদা বা দিদি বলি না কেন মনের সম্পর্ক বন্ধুতের হতে পারে।
বন্ধু কিভাবে বানানো যায়
বন্ধু বানানর নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই, শুধু নিজেকে একটু মিসুখে প্রকৃতির বানাতে হবে। রোজকার জায়গা ছাড়াও আমরা প্রাইই কোন না কোন নতুন জায়গায় যাই বা বিভিন্ন মানুষদের সঙ্গে দেখা হয়। আমরা তাদের সাথে প্রথমে আলাপ ও পরে পছন্দ মতো বিষয় নিয়ে কিছুটা কথা বলতে পারি।সেটা পড়াশোনা বা কাজের বিষয় বা অন্য কিছও হতে পারে।
বন্ধুতের সম্পর্ক কিভাবে বজায় রাখা যায়
নিজ নিজ সময় বুঝে সপ্তাহে বা মাসে বা ছমাসে বা বছরে একবার হলেও দেখা করা বা এখন তো সহজেই কোন কথা বলতে পারা যায়। বিভিন্ন স্কুল বা কলেজ প্রোগ্রাম, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ইতাদিতে যাওয়া সেখানে কথা বার্তা বলা। মানে মধ্যা কথা সকলের সাথে কম বেশি সম্পর্ক রাখতে হবে। বাড়িতে কোন অনুষ্ঠান হলে পুড়ানো বন্ধুদের সাথে নতুন কিছু বন্ধুদেরও আমন্ত্রন করা বা বলা। কোনোদিন নিজের কাজ বা ছুটি থাকলে বন্ধুদের ফোন করে কারোর ছুটি থাকলে দেখা করে কিছুটা সময় কাটানো ইত্যাদি।
বন্ধুত্ব করার উপকারিতা
বেশি বন্ধু থাকার উপকারিতা অনেক তা ব্যাখা করে বোঝালেও অনেক কম হবে।শুধু মানসিক নয় শারীরিক দিক থেকেও উপকারি।একাকীত্ব মানুষের জীবনে বিভিন্ন রোগের বাসা বাঁধে। আনন্দময় জীবন মানুষকে চিন্তামুক্ত, সুস্থসবল জীবন দান করে।আজকের দিনে বেশ কিছু রোগ যেমন সুগার, প্রেসার, কোলেস্টেরল ইত্যাদি আমাদের ঘরে ঘরে বৃদ্ধি পাচ্ছে এই ধরনের রোগের একটা কারন বা চিন্তা একাকীত্ব তাই বন্ধুত্ব একাধিক বা সব ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি।
বিভিন্ন ধরনের আনন্দ অনুষ্ঠান দুঃখের সময়েও বন্ধুদের খুবই প্রয়জন।বিভিন্ন শলা পরামর্শ করতে , কোথাও ঘুরতে যেতেও, বিভিন্ন অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করা যায়।
ভালো বন্ধুদের মধ্যে কিছু খারাপ বন্ধুও থাকে যাদের থেকে নিজেদের বুঝে চলাটাও অত্যন্ত জরুরি।