দৃষ্টিশক্তি – চোখ আমাদে্র খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। রংচঙে দুনিয়ার যে মাধুর্য বা প্রকৃতির যে রূপ লাবণ্য তা দেখতে গেলে দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠবে না। নিজের পায়ে এক পা চলতে গেলেও তা এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ চোখ ছাড়া সম্ভব না। মানব জীবনে চোখের গুরুত্ব আমরা সবাই জানি আর যার দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ সেও জানে তার কি মর্ম।
আজকের দিনে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের চোখেও চশমা দেখা যাচ্ছে। কারন তাদের পরশনার চাপ অনেক বেশী কিন্তু সঠিক পরিমান ভিটামিন খাবার হয়ত সে ভাবে নিছে না। বিভিন্ন কারন হতে পারে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার সে ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা মনে হলে এক্সপার্ট বা ডাক্তারদের পরামর্শ অত্যন্ত জরুরি।
বেশ কিছু খাবার আছে তা যদি আমরা আমাদের সারাদিনের ঝুলিতে রাখতে পারি তাহলে আমাদের দৃষ্টিশক্তিকে ভালো রাখতে পারি।
প্রথমেই বলি সবুজ শাকসবজি প্রত্যেক দিনের ডায়েটে অবশ্যই রাখুন। সবুজ শাকসবজিতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-২, বিটা ক্যারোটিন ইত্যাদি। শুধুমাত্র দৃষ্টিশক্তি নয় শরীর কে সতেজ ও তরতাজা রাখতেও সবুজ শাকসবজির গুরুত্ব অপরিসিম।
পালঙশাক, মিষ্টি আলু, ব্রকলি্, রেড পিপার ইত্যাদি এগুলিতে থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ও বিটা ক্যারোটিন । যা রাতকানা ড্রাই আই ইত্যাদি সমস্যা ও আলোর প্রতি চোখের সংবেদনশীলতা কমায়, দৃষ্টি ঝাপসা হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
ফলের মধ্যে ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, তরমুজ, আঙুর এছাড়া বেরি জাতীয় ফলের মধ্যে আছে ভিটামিন এ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা বিভিন্ন সংক্রমণ ও চাপ নিয়ন্ত্রনে রাখে।
বাদাম- আমন্ড ইত্যাদি তে থাকে ভিটামিন বি-২, যা অনেক উপকারী।
ছোট মাছ বা চুনোমাছ অবশ্যই প্রত্যেক সপ্তাহে ৩-৪ দিন খান, সে ভাজা হোক বা তরকারি। এই মাছে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা চোখের আদ্রতা ও রেটিনাকে রক্ষা করে। কালো জিরা দিয়ে মৌরলা মাছের ঝোল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ডায়েট যা অবশ্যই রাখুন ২-৩ দিন সপ্তাহে।
বেলের পানা- তেঁতুলের রস, চি্নি, আখের গু্র, বিটনুন ভাজা, জিরে গুড়ো ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করে সপ্তাহে এক দিন হলেও খান উপকার পাবেন।
গাজরের ক্ষীর- চিনি এলাচ তেজপাতা সাদাতেল কাজুবাদাম কিসমিস ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করে বিভিন্ন সময়ে খেলে উপকার পাবেন।
কারোর শরীরে অন্য কোন অসুবিধা থাকলে অবশ্যই এক্সপার্টদের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।
সংগৃহীত- শরীর ও স্বাস্থ্য।