অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল – একটু ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখতে পাই যে আমাদের প্রতি মাসের ইলেকট্রিক বিলের খরচ ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে বা বেশি টাকা পেমেন্ট করতে হচ্ছে। গরমের সময় যদিও শীতকালের তুলনায় একটু বেশিই বিল ওঠে বা বেশি টাকা পেমেন্ট করতে হয়। তবুও অন্যান্য বছরের তুলনায় লক্ষ্য করলে বা পুরানো বিল দেখলে জানতে পারব যে আগের বছরের তুলনায় নতুন বছরে একই মাসের বিল বেশি হচ্ছে।
Table of Contents
অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল এর খরচ কমানোর উপায়গুলি
যদিও ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির প্রতি ইউনিটের খরচ আগের তুলনায় বেশ কিছুটা বেরেছে তবুও আমাদের বেস কিছু উপায় আছে যেগুলি ফলো করলে ইলেকট্রিক বিলের খরচ অনেকটা কমাতে পারব।
১. বেশী এনার্জি ব্যবহৃত হয় এমন এপ্লিয়েন্সেস এর ব্যাবহার প্রয়োজন মতো করা
যে সমস্ত এপ্লিয়েন্সেস এ বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয় বা ইলেকট্রিক বিলের খরচ বেশি হয় সেগুলিকে একটু বুঝে ব্যাবহার করা। যেমন ডিসওয়াসার, ওয়াশিংমেশিন , এসি ,গিজার ইতাদি। একটা বা দুটো ডিস ওয়াস করার সময় যদি আমরা ভিম ওয়াসার ব্যাবহার করি তাহলে মেশিন তার ক্যাপাসিটার তুলনায় বেশি কম কাজ করলো কিন্তু বিদ্যুৎ খরচ বেশি হল।আবার ওয়াশিংমেশিন ও তাই যদি কম জামাকাপড় থাকে তাহলে ওয়াশিংমেশিন বেশি বিল খরচ করছে।
২. নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যাবহার না হলে সুইচ বন্ধ করে রাখা
আমরা অনেক সময়ই এসি , টিভি , মিউজিক সিস্টেম এর মতো জিনিস গুলো রিমোট দিয়ে বন্ধ করে দিই। কিন্তু এগুলির ইলেকট্রিক সুইচ গুলি বন্ধ না করায় কিছুটা হলেও ইলেকট্রিক এনার্জি খরচ হয়। তাই এগুলোর যখন ব্যাবহার না তখন সুইচ অফ করে রাখলে খরচ কিছুটা কমানো যায়।এছাড়া লাইট , পাখা ইত্যাদি যখন দরকার নেই অফ করে রাখলে ভালো। বিশেষ করে সান করার অনেক আগে গিজার চালিয়ে রাখা বা সান করা হয়ে গেলেও গিজার চালিয়ে না রেখে হাতের কাছে গিজারের সুইচ রেখে তা প্রয়োজন মতো চালু বা বন্ধ করতে পারলে অনেকটা ইলেকট্রিক বিলের খরচ কমানো যায়।
৩. বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে এমন লাইট , পাখা , ফ্রিজ , এসি ইত্যাদির ব্যাবহার করা
আমাদের অনেকের বাড়িতেই পুরানো দিনের ৪০ ওয়াট এর টিউব বা ৬০-১০০ ওয়াটের বাল্ব ব্যাবহার হয়। বর্তমানে এলইডি লাইট বাজারে পাওয়া যায় , যার ওয়াটেজ অনেক কম কিন্তু আলো অনেক বেশি ।সেই সমস্ত এনার্জি এফিশিয়েন্ট লাইট ব্যাবহার করলে বেশ কিছুটা ইলেকট্রিক বিল কমান যায়। পুরানো এসি, ফ্রিজ, পাখা ইত্যাদিও অনেকটা বেশি ওয়াটের হয়ে থাকে, এগুলোকে চেঞ্জ করে নতুন এসি, ফ্রিজ, পাখা, ওয়াশিং মেশিন, ইস্ত্রি, গিজার ইত্যাদি নিতে পারলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল এর খরচ কমানো যায়।
৪. ইলেকট্রিক ওয়ারিং অনেক পুরানো হলে তা ইলেক্ট্রিশিয়ান কে দিয়ে টেস্ট করা
অনেক সময় যদি বাড়ির ওয়ারিং অনেক বছরের পুরানো হয়ে থাকে ত্রুটিযুক্ত থাকে সেক্ষেত্রে ইলেকট্রিক বেশি খরচ হতে পারে। তাই অনেক বছরের পুরানো ইলেকট্রিক ওয়ারিং থাকলে একবার অন্তত ভালো ইলেক্ট্রিশিয়ান ডেকে চেক করিয়ে নিলে এবং কোন ত্রুটি থাকলে তা সারিয়ে নিলে অনেকটা খরচ কমানো যায়।
৫ বাড়ির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এনার্জি এফিশিয়েন্ট লাইট পাখার ব্যাবহার করা
আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না, যদি কোন ঠিকাদার হ্যালোজেন বা মেটাল লাইটের মতো লাইট লাগিয়ে দেয় সেক্ষেত্রে বিদ্যুতের বিল অনেকটাই সেই মাসের বিলে বেশি হয়ে যায়। আমরা যদি বিভিন্ন ধরনের এলইডি লাইটই লাগানোর কথা বলে দিই তাহলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল এর খরচ কমানো যায়।