দি বিজনেস ম্যান

কানাই বন্দোপাধ্যায় একজন বিজনেস ম্যান । পাড়ার মোড়ে মুদিখানার দোকান । স্ত্রী মৃণালিনী ও ছেলে কুনালকে নিয়ে বন্দোপাধ্যায় নিবাস । মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির কুনাল Electronic Engineering এর পরা শেষ করে বাড়ি ফেরে । স্বপ্ন ছিল MBA পড়ার কিন্তু বাবার তেমন ক্ষমতা না থাকায় তাকে বাড়ি ফিরে আসতে হয় ।

কানাই ও মৃণালিনীর ইচ্ছা কুনাল এবার কোনো ভালো চাকরী বা বাবার ব্যাবসা করে নিজেকে সেটেল করুক । কুনালের ইচ্ছা ব্যাবসা করার কিন্তু বাবার ব্যাবসা নয় । বাবা – মায়ের বোঝানোতে কুনালের রাগ হয়, বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে ।

বন্ধুদের ঠেকে গিয়ে কুনালের দেখা হয় Industrialist Mr. রাজা সাহার ছেলে রজত সাহার সাথে । দুজনে সেম ইয়ার এর, সেম কলেজেরই ছাত্র ছিল তারা । কুনালের রাগের কারন জানতে পেরে, সন্ধ্যায় তাদের বিজনেস পাটিতে সব বন্ধুদের নিমন্ত্রণ করে গেল । পাটিতে সকলেরে সঙ্গে আলাপ হ্য় কলেজের ফাস্টবয় কুনালের । রজতের রিকোয়েস্টএ গান গায় । কয়েক জনের কোম্পানিতে ভালো জবের অফার পেলেও কুনাল তা গ্রহণ করেনা ।কুনাল বেশি নেশা করে ফেলে ।এখানে রাজা সাহা ও তার বন্ধুদের আলোচনা শুনে মনে কিছুটা আনন্দ হয় ।( রাজা সাহা বলেন মাটিকে পরিষ্কার করে ভালো গেট আপ দিয়ে বিক্রি করতে পারলেও তা বাজার চলবে ) ।

আইডিয়া

মদের নেশায় চুড় হয়ে থাকায় রজত বাড়িতে দিয়ে যায় । ঘুমের মধ্যে কুনাল স্বপ্ন দেখে । সকালে– মাকে তার আইডিয়া জানালে বাবা তাকে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যেতে বলেন যদিনা কাল থেকে বাবার ব্যবসায় সহযোগিতা করে ।

বন্ধুদের কাছে এসে জানালে তারাও এই আইডিয়া মাথা থেকে নামাতে বলে তাকে । অবশেষে কুনালের কথায় রাজি হয়ে তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, তবে এক শর্তে, তিন মাস কুনালকে তারা এই ব্যাবসায় সঙ্গ দেবে, যদি ব্যাবসা না দারায় তাহলে কুনালকে তার বাবার ব্যাবসা বা কোনো চাকরিতে যোগ দিতে হবে । কুনাল রাজি হয় ।

সকলে মিলে গান ও আনন্দ করে ।

শুরু হয় কুনালের বিজনেস । বড় রাস্তার ধারে সামনে সেলস কাউন্টার, পিছনে প্রসেসিং ও প্যাকেজিং এর ব্যাবস্থা । পটল খুব বেশী কথা বলতে পারে তাই সেলস এর দায়িত্বে । রতন ও জগু প্রসেসিং ও প্যাকেজিং এর দায়িত্বে । বিজ্ঞাপনের ব্যাবস্তাও ভালো ভাবে হল ।

(দোকানের সামনে অ্যাড – স্পেশাল পদ্ধতিতে ট্রিটমেন্ট করা মাটি পাওয়া যায় । গঙ্গা মাটি পতিতা পল্লির মাটি ছারাও স্পেশাল দরকার অনুযায়ি ট্রিটমেন্ট করা মাটি সরবারহ করা হয় ।)

বিভিন্ন ধরনের লোকেরা বিভিন্ন প্রয়োজনে মাটি কিনতে থাকে । বিশেষ করে পুজর জন্য শহরের লোকেরা গঙ্গা মাটি কেনে, তিন মাসের মধ্যে কুনাল ও তার বন্ধুরা নতুন অফিস নেয় বিদেশে ও অনলাইনে ব্যাবসা রম রমিয়ে চলতে থাকে ।

শ্রী লঙ্কা থেকে ফোন আসে চাঁদের নমুনা মাটি সাপ্লাই করার । কুনাল অর্ডার টা নেয় । তার পরই শুরু হয় গল্পের অন্য রূপ ।

বাবা-মা ও বন্ধুদের কারও কথা না শুনে সে জেদ ধরে চাঁদে সে যাবেই ব্যাবসা ছারাও তার অনেক দিনের সখ । কুনাল বিভিন্ন ভাবে সরকারি বিভাগে যোগাযোগ করে কিন্তু কোনো ভাবেই কোনো রূপ সুরাহা হয় না । ওয়েবসাইট এর সাহায্যে কুনাল নাসার বিজ্ঞানী দের সাথে যোগাযোগ করেন এবং ভিডিও চ্যাট করে। চ্যাটিং চলার সময় কলেজের বান্ধবী রীনাকে দেখতে পায় ও কথা হয় । রীনা মুখাজী – জুনিয়র বিজ্ঞানী নাসাতে ।

পরে ফোনে কুনালের সঙ্গে রীনার কথা হয় এবং সব কিছু বলে সাহায্য করতে বলে । রীনার রিসার্চের বিষয় ছিল চাঁদের মাটি এবং তার স্বপ্ন ছিল চাঁদে যাওয়ার । বিভিন্ন রকম পারমিশনের পরে কুনাল ও রীনা চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা হয় ।

চাঁদে যাওয়ার পথে ,তাদের যানটি বিগরে যায় এবং রীনার কন্ট্রোলের বাইরে চলে যায় । জীবিত ফিরতে পারবেনা বলে রীনা জ্ঞান হারায় । কূনাল Specilist Engineer এর সাথে যোগাযোগ রেখে সেটিকে ঠিক করে এবং রীনাকে নিয়ে মাটি সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফেরে । এর মধ্যে দুজন দুজনের প্রেমে পড়ে ।

(আনান্দের গান)

এদিকে TV তে কূণাল ও রীনাকে একসাথে দেখে রজত রেগে গিয়ে বাবার পোষা গুণ্ডা দের নিয়ে পথ আটকায় । হিরো (কূনাল) তার মোকাবিলা করে রীনাকে নিয়ে বাবা – মায়ের কাছে আসে । রীনার বাবা মা প্রথমে রাজী নাহলেও পরে মত দেন ।

শ্রীলংকায় মাটীর সাপ্লাই করে এবং সেখান থেকে অর্থ ছাড়াও সম্মান দেন । বিজনেস অনেক বড় রূপ নেয় । দেশ বিদেশের অর্ডার অনেক বাড়তে থাকে । বিজনেসম্যান কূনাল ও বিজ্ঞানী রীনার শুভদৃষ্টি সু- সম্পণ্ণ হয় ।

কলমেঃ- অমিত পাল

জেনে নিন রান্নাঘরের রোজকার ব্যবহৃত জিনিস গুলির গুনাগুন

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x